
বিশ্ব পরিচিতি ,জেনে নিন এশিয়া মহাদেশ সম্পর্কে কিছু কথা যা আপনার কাজে লাগলেও লাগতে পারে [ না দেখলে মিস ]
বিশ্ব পরিচিতি ,জেনে নিন এশিয়া মহাদেশ সম্পর্কে কিছু কথা যা আপনার কাজে লাগলেও লাগতে পারে [ না দেখলে মিস ]
[h1]আসসালামু আলাইকুম [/h1]
বন্ধুরা আশা করি ভালো আছ ।আমিও ভালো আছি ।আমি এই সাইটে নতুন তাই ভুল ক্রটি হলে ক্ষমা করে দিবেন ।আজকে আমরা জানব এশিয়া মহাদেশ সম্পর্কে কিছু কথা ।বিস্তারিত পোষ্ট :-
[h2]চলমান সংজ্ঞা[/h2]
এশিয়া পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ও সবচেয়ে জনবহুল মহাদেশ, প্রাথমিকভাবে পূর্ব ও উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত।
google map এর ভিতর আপনার ভাড়ি অ্যাড করুন
এটি ভূপৃষ্ঠের ৮.৭% ও স্থলভাগের ৩০% অংশ জুড়ে অবস্থিত। আনুমানিক ৪৩০ কোটি মানুষ
নিয়ে এশিয়াতে বিশ্বের ৬০%-
এরও বেশি মানুষ বসবাস করেন।
অধিকাংশ বিশ্বের মত, আধুনিক যুগে এশিয়ার বৃদ্ধির হার উচ্চ।
উদাহরণস্বরূপ, বিংশ শতাব্দীর
সময়, এশিয়ার জনসংখ্যা প্রায়
চারগুণ বেড়ে গেছে, বিশ্ব
জনসংখ্যার মত। এশিয়ার সীমানা সাংস্কৃতিকভাবে
নির্ধারিত হয়, যেহেতু ইউরোপের সাথে এর কোনো
স্পষ্ট ভৌগোলিক বিচ্ছিন্নতা
নেই, যা এক অবিচ্ছিন্ন
ভূখণ্ডের গঠন যাকে একসঙ্গে
ইউরেশিয়া বলা হয়।
এশিয়ার সবচেয়ে সাধারণভাবে স্বীকৃত সীমানা হলো সুয়েজ খাল, ইউরাল নদী, এবং ইউরাল
পর্বতমালার পূর্বে, এবং
ককেশাস পর্বতমালা এবং
কাস্পিয়ান ও কৃষ্ণ সাগরের
দক্ষিণে। এটা পূর্ব দিকে প্রশান্ত মহাসাগর, দক্ষিণে ভারত মহাসাগর এবং উত্তরে উত্তর মহাসাগর দ্বারা বেষ্টিত।
ইউরাল পর্বতমালা, ইউরাল নদী,কাস্পিয়ান সাগর, কৃষ্ণসাগর এবং ভূমধ্যসাগর দ্বারা এশিয়াও ইউরোপ মহাদেশ দুটি পরস্পর হতে বিচ্ছিন্ন। এছাড়া লোহিত সাগর ও সুয়েজ খাল এশিয়া মহাদেশকে আফ্রিকা
থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে এবং
উত্তর-পূর্বে অবস্থিত সংকীর্ণ
বেরিং প্রণালী একে উত্তর
আমেরিকা মহাদেশ থেকে পৃথককরেছে। উল্লেখ্য, বেরিং
প্রণালীর একদিকে অবস্থান
করছে এশিয়া মহাদেশের
অন্তর্গত রাশিয়ার উলেনা এবং
অপর পাশে উত্তর আমেরিকা
মহাদেশের অন্তর্গত মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা।
এইপ্রণালীটির সংকীর্ণতম অংশটিমাত্র ৮২ কি•মি• চওড়া, অর্থাৎবেরিং প্রণালীর এই অংশ হতেউত্তর আমেরিকা মহাদেশেরদূরত্ব মাত্র ৮২ কি•মি•।
এর আকার এবং বৈচিত্র্যের
দ্বারা, এশিয়ার ধারণা – একটি
নাম ধ্রুপদি সভ্যতায় পাওয়া
যায় – আসলে ভৌত ভূগোলের
চেয়ে মানবীয় ভূগোলের সাথে
আরো বেশি সম্পর্কিত।
এশিয়ার অঞ্চল জুড়ে
জাতিগোষ্ঠী, সংস্কৃতি, পরিবেশ, অর্থনীতি, ঐতিহাসিক
বন্ধন এবং সরকার ব্যবস্থার
মাঝে ব্যাপকভাবে পার্থক্য
পরিলক্ষিত হয়।
[h2]সংজ্ঞা এবং সীমানা[/h2]
গ্রিক তিন-মহাদেশের
ব্যবস্থাএশিয়া ও পার্শ্ববর্তী
স্থলভূমিগুলির দুই বিন্দু
সমদূরবর্তী অভিক্ষেপ।
এশিয়ার মানুষদের জাতিগত
বৈচিত্র্য,নরডিস্ক
ফ্যামিলজেকব (১৯০৪)
এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে
সীমান্ত ঐতিহাসিকভাবে
শুধুমাত্র ইউরোপীয়দের দ্বারা
নির্ধারিত হয়েছে। দুইয়ের মধ্যে
মূল পার্থক্যপ্রাচীন গ্রিক
দ্বারা তৈরি করা হয়। তারা
এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে
সীমানা হিসেবে
এজিয়ান সাগর,
দারদানেলেস (Dardanelles),
মার্মারা সাগর, বসফরাস, কৃষ্ণ
সাগর, কেরচ প্রণালী (Kerch
Strait), এবং আজভ সাগর
ব্যবহার করে। নীল নদ প্রায়ই
এশিয়া এবং আফ্রিকার মধ্যে
সীমানা হিসাবে ব্যবহৃত হয়,
যদিও কিছু গ্রিক ভূগোলবিদ
লোহিত সাগরকে একটি ভাল
সীমানা হিসেবে মনে করে থাকে।
নীল নদ এবং লোহিত
সাগরের মধ্যে দারিউসের খাল
এই ধারণায় যথেষ্ট প্রকরণ
সৃষ্টি করে।রোমান সাম্রাজ্যের
অধীনে, দন নদী কৃষ্ণ সাগরে
পড়ত, যা এশিয়ার পশ্চিম
সীমান্ত। এটি ইউরোপীয় তীরে
উত্তরদিকের নাব্য বিন্দু। ১৫
শতাব্দীতে লোহিত সাগর নীল
নদের বদলে আফ্রিকা ও
এশিয়ার মধ্যে সীমা হিসাবে
প্রতিষ্ঠিত হয়ে ওঠে।
[q2]এশিয়া–ইউরোপসীমানা[/h2]
দন নদী উত্তর ইউরোপীয়দের
কাছে অসন্তোষজনক হয়ে
ওঠে, যখন রাশিয়ার রাজা পিটার
পূর্ব খন্ডে প্রতিপক্ষ সুইডেন
ও উসমানীয় সাম্রাজ্যকে
পরাজিত করেন, এবং
সাইবেরিয়ার উপজাতিদের
সশস্ত্র প্রতিরোধ দমন করেন।
এর দ্বারা ১৭২১ সালে একটি
নতুন রাশিয়ান সাম্রাজ্য
প্রতিষ্ঠিত হয়, যা ইউরাল
পর্বতমালা ও তার পরেও ব্যপ্ত
ছিল। সাম্রাজ্যের প্রধান
ভৌগোলিক ত্বাত্তিক আসলে
ছিল একজন প্রাক্তন সুইডিশ
যুদ্ধবন্দী, যাকে ১৭০৯ সালের
পোল্টাভা যুদ্ধ থেকে বন্দী করা
হয়। তাকে তোবলস্কে নিযুক্ত
করা হয়, যেখানে তিনি পিটারেরসাইবেরিয়ার সরকারী, ভাসিলি
তাতিসচেভ-এর সাথে সঙ্গে
যুক্ত ছিলেন এবং যে তাকে
বইয়ের প্রস্তুতির জন্য
ভৌগোলিক ও নৃতাত্ত্বিক
গবেষণা করার অনুমতি ও
স্বাধীনতা দেয়।
সুইডেনে, পিটারের মৃত্যুর পাঁচ
বছর পর, ১৭৩০ সালে ফিলিপ
জোহান ভন স্তারাহলেনবেরগ
এশিয়ার সীমানা হিসেবে
ইউরালকে প্রস্তাব করে একটি
নতুন মানচিত্রাবলী প্রকাশ করে।রাশিয়ানরা ভূগোলে তাদের ইউরোপীয় পরিচয় রাখা অনুমোদিত করার ধারণা
সম্পর্কে উত্সাহী ছিল।
তাতিসচেভ ঘোষণা করেন যে,
তিনি ভন স্তারাহলেনবেরগ
ধারণাটি প্রস্তাব করেছিলেন।
পরবর্তীরা নিম্ন সীমা হিসাবে
এমবা নদী প্রস্তাব করে।
মধ্য-১৯ শতকে ইউরাল নদী
প্রকাশ হবার আগ পর্যন্ত
বিভিন্ন প্রস্তাব করা হয়। কৃষ্ণ
সাগরে থেকে কাস্পিয়ান সাগরে
সীমানা সরানো হয়। সেই
সময়কার মানচিত্রে,
ট্রান্সককেশিয়া এশিয়ান বলে
গণ্য হত। সেই অঞ্চলের
অধিকাংশই
সোভিয়েত ইউনিয়ন-
এ অন্তর্গত হওয়া দক্ষিণ
সীমানার মতামতকে প্রভাবিত
করে। ইউরোপ থেকে তাদের
পৃথক কল্পিত সীমানা নির্ধারণে
এশিয়ান সংস্কৃতির কোনো
ভূমিকা নেই।
[h2]আশা করি ভালো লাগবে পারলে আমাদের সাইট[url=http://twicebd.xyz]TWICEBD.XYZ[/url] গুরে আশুন[/h2]